পাঁচ হাজার মণ কাঁচাপাট জব্দ
নিয়মের বাইরে গিয়ে মজুদের অভিযোগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি বাজারে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট জব্দ করেছে পাট অধিদপ্তর। অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির গতি বাড়াতে এ অভিযান চালানো হয়।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতি. সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার ও নাটোর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভাই ভাই ট্রেডার্স গুদাম থেকে প্রায় ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট জব্দ করা হয়েছে।
পাট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে কাঁচাপাটের সঙ্কট তৈরির কারণে পাটকলগুলো উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী কাঁচাপাটের ডিলার বা আড়তদাররা এক হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুদ করতে পারবেন না। লাইসেন্সবিহীন কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ থেকে বিরত রাখা, ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ, বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পাট অধিদপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না।
এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচ বছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-এর আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প চলছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর প্রত্যক্ষভাবে ১,৫৩,০০০ পাটচাষী ও পরোক্ষভাবে ৬,১২,০০০ কৃষক ও পরিবারের সদস্য উপকার পাচ্ছেন।
একে/আরএইচ/এমএইচএস