‘উত্তম কৃষি চর্চা’ নীতিমালার খসড়া অনুমোদন
মাঠে ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত খাদ্যপণ্য নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে সরকার গৃহীত ’উত্তম কৃষি চর্চা’ নীতিমালার খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস নীতিমালা (গ্যাপ), ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ নীতি বাস্তবায়ন হলে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য চাষাবাদে সার ও বালাইনাশক ব্যবহার, ভারী ধাতব পদার্থের উপস্থিতি, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি উইং সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানায়, নীতিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত কৃষি পণ্যে সার ও বালাইনাশক এর কাঙ্খিত ব্যবহার, অনুজীবের সংক্রমণ প্রতিরোধ, ভারী ধাতব পদার্থের উপস্থিতি কমিয়ে আনার পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের মান অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হবে। এছাড়াও মৃত্তিকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কৃষক ও ভোক্তার স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য অনেকাংশে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। কৃষিপণ্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রয়োজন মেটাতে এ নীতিমালার অধীনে একটি সার্টিফিকেশন বডি গঠন করা সম্ভব হবে। ওই সার্টিফিকেশন বডি চুক্তিবদ্ধ ফার্মিং এর মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের জন্য উৎপাদনকারীদের সনদপত্র দেবে।
নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন, পরিবেশ সহনীয় ফসল উৎপাদন, কর্মী সুরক্ষা, খাদ্য শৃঙ্খলের সকল স্তরে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ, ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানসম্পন্ন ফসলের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি।
নীতিমালাটি তৈরিতে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নীতিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন শতভাগ নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে রপ্তানীযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফলে এই নীতিমালাটি ভোক্তা থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষদের নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
একে/এসআরএস