জেনে নিন পাট চাষের প্রয়োজনীয় তথ্য
সোনালি আঁশ খ্যাত পাট চাষের সময় এখন। অনেকেই ইতিমধ্যে জমি প্রস্তুতসহ প্রাথমিক কাজ সেরেছেন। এ বছর পাটের দামও গেছে বেশ ভালো। তাই উন্নত জাতের পাট চাষের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিবিদরা।
কৃষি তথ্য সার্ভিস এর তথ্য অফিসার (কৃষি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাট চাষে সফলতা পেতে হলে চাষিদের অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে জমি তৈরিসহ চারা রোপণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে চলতি মৌসুমে ছয় লাখ ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৭৭ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে চৈত্রের শেষ পর্যন্ত পাটের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। অর্থাৎ বর্তমান সময়টাই মুখ্য সময়। পাট চাষ শুরুর আগে আপনাকে জানতে হবে ভালো জাতগুলো বিষয়ে। ও-৯৮৯৭, ওএম-১, সিসি-৪৫, বিজেসি-৭৩৭০, সিভিএল-১, এইচসি-৯৫, এইচ এস-২৪ এই জাতগুলো ভালো। স্থানীয় বীজ ডিলারদের সাথে যোগাযোগ করে জাতগুলো সংগ্রহ করতে করা যাবে বলে জানান তিনি।
মঞ্জুর হোসেন জানান, জমি নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পাট চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি নির্বাচন করে আড়াআড়িভাবে পাঁচ থেকে ছয়টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। সারিতে বুনলে প্রতি শতাংশে ১৭ থেকে ২০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। তবে ছিটিয়ে বুনলে আরেকটু বেশি অর্থাৎ ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়।
পাটের জমিতে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার ও চারা থেকে চারার দূরত্ব ৭-১০ সেন্টিমিটার রাখা ভালো। ভালো ফলনের জন্য শতাংশপ্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০ গ্রাম টিএসপি, ১০০ গ্রাম এমওপি সার শেষ চাষের সময় মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
জমিতে সালফার ও জিংকের অভাব থাকলে জমিতে সার দেওয়ার সময় ৪০০ গ্রাম জিপসাম ও ২০ গ্রাম দস্তা সার দিতে হবে। চারা গজানোর ১৫ থেকে ২০ দিন পর শতাংশপ্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করেত হবে। এর ৩০ থেকে ৪০ দিন পর দ্বিতীয়বারের মতো শতাংশপ্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
একে/ওএফ