কফি-কাজুসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষ ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
গতানুগতিক কাজের মধ্যে আটকে না থেকে সৃজনশীলতা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, কফি, কাজুবাদাম, ড্রাগনসহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসলের চাষ ছড়িয়ে দিতে হবে। কোন ফসল কোন জায়গায় ভাল উৎপাদন হয় তা চিহ্নিত করতে হবে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ে বোরো ধান, তেল, ডালসহ মসলাজাতীয় ফসল এবং অপ্রচলিত ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ফসলের আবাদের এলাকা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো দরকার।
প্রতিদিন চালের দাম কেন বাড়ছে তার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত চাল আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিখাতের উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় এ বছর কৃষিখাতে রেকর্ড পরিমাণ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি এ বিষয়ে কর্মকর্তাদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, প্রকল্প পরিচালক খাইরুল আলম প্রিন্সসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গত এক মাস ধরেই প্রায় প্রতিনিয়ত চালের দাম বাড়ছে। এছাড়া চালকল মালিকরাও সরকারকে চাল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এরইমধ্যে চাল কেনা শুরু করেছে।
এছাড়া রোববার বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে উৎসাহ দিতে চালের শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে চাল আমদানিতে শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থাকলেও তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
একে/জেডএস