লক্ষ্যমাত্রার ৮৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, এ বছর ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে সারাদেশে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি বোরো ধান কাটা উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এবার বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টক চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। এদিন সিলেটের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা গ্রামের কৃষক আবদুল হেকিমের চাষ করা হাইব্রিড বোরো ধান কাটা উদ্বোধন করা হয়।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাইব্রিড ধানে উৎপাদনশীলতা বেশি। তাই আমরা চেয়েছিলাম ২ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড আবাদ করব। সেজন্য কৃষকদের বীজসহ অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এবার আমরা বোরোতে অতিরিক্ত ৭৩ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আশা করি হাইব্রিডের কারণে আমরা কমপক্ষে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান বেশি পাব। কৃষক গত বোরো, আউশ ও আমনে ভালো দাম পেয়েছেন। এই বোরোতেও যাতে ভালো দাম পায় সেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবে আমরা ধান ক্রয়েরও ব্যবস্থা করব।
ধান কাটা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আস্তমা গ্রামে এই বছরের বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আমরা তিনটি মৌসুমে ধান করে থাকি- বোরো, আউশ ও আমন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বোরো ধান রোপণ করা হয়, এপ্রিলের শেষের দিক থেকে ধান কাটা শুরু হয়ে মে-জুনের প্রথম ভাগে এসে সারাদেশে শেষ হয়। বোরোটাই আমাদের চালের সবচেয়ে বড় মৌসুম।
সাধারণত এপ্রিলের ১৫ তারিখের পর বোরো কাটা শুরু হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হাইব্রিড করার কারণে এবার আগেই ধান কাটা হচ্ছে। হাওর এলাকার ধানটা যদি আমরা ঘরে তুলতে পারি, আমাদের আর ঝুঁকি থাকবে না। স্বস্তিতে থাকতে পারব। লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন হবে।
এসএইচআর/এমএইচএস