ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : ক্ষতি থেকে বাঁচতে ৩০ জেলার কৃষকদের ১০ পরামর্শ
আগামী ২৬ মে (বুধবার) সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানা শুরু করতে পারে। এ সময় দেশের উপকূলসহ বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় মাঠের ফসল, গবাদি প্রাণী, মাছের ঘের ও পুকুরসহ কৃষি সম্পদ ও স্থাপনা রক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে।
এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৫ থেকে ২৭ মে দেশের ৩০ জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : উপকূলের আতঙ্ক দুর্বল বেড়িবাঁধ
আরও পড়ুন : ইয়াস আঘাত হানবে পশ্চিমবঙ্গে, দুই পাশে থাকবে উড়িষ্যা-খুলনা
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে ফসলসহ কৃষির অন্যান্য খাতকে রক্ষার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কিছু পরামর্শ দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কৃষি সম্পদ ও স্থাপনা রক্ষায় ১০ পরামর্শ
১। বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলতে হবে।
২। সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন দিয়ে এমনভাবে ঢেকে রাখুন যাতে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতি না হয়।
৩। দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল বিশেষ করে আম ও লিচু সংগ্রহ করে ফেলুন।
৪। সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
৫। দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।
৬। নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
৭। খামারজাত সকল পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।
৮। আখের ঝাড় বেঁধে দিন, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।
৯। পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন যেন ভারী বৃষ্টিপাতের সময় পানিতে মাছ ভেসে না যায়।
১০। গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
একে/এইচকে/জেএস