আম ও সবজির যত্নে এখন যা করতে হবে
আসছে আমের মৌসুম। কিছুদিন পরেই মুকুলে ছেয়ে যাবে আম গাছ। আমের ভালো ফলন পেতে হলে নিতে হবে আগাম প্রস্তুতি। আর শাকসবজি চাষে সফলতা পেতে হলে নিতে হবে সঠিক যত্ন।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ সময় শাকসবজি ও আমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে।
সাধারণত এসময় আম গাছে মুকুল আসে। গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগপর্যন্ত আক্রান্ত গাছে টিল্ট-২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা ২ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের আকার মটরদানার মতো হলে গাছে দ্বিতীয়বার স্প্রে করতে হবে।
এসময় প্রতিটি মুকুলে অসংখ্য হপার নিম্ফ দেখা যায়। আম গাছে মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে কিন্তু ফুল ফোটার আগেই একবার এবং এর একমাস পর আরেকবার প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ১.০ মিলি সিমবুস/ফেনম/ডেসিস ২.৫ ইসি মিশিয়ে গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, বেশি ফলন পেতে হলে শীতকালীন শাকসবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, ওলকপি, শালগম, গাজর, শিম, লাউ, কুমড়া, মটরশুঁটি এসবের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে।
টমেটোর শত্রু হলো ফলছিদ্রকারী পোকা। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথকে ধরে সহজে এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমির জন্য ১৫টি ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। সেই সাথে ক্ষেতে পতঙ্গভুক পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্র জানায়, আধাভাঙা নিম বীজের নির্যাস ৫০ গ্রাম এক লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ১২ ঘণ্টা ভেজাতে হবে এবং পরে মিশ্রণটি ভালো করে ছাকতে হবে। ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করে এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আক্রমণ তীব্র হলে কুইনালফস গ্রুপের কীটনাশক দেবীকইন ২৫ ইসি/কিনালাক্স ২৫ ইসি/করোলাক্স ২৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার পরিমাণ মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।
শীতকালে মাটিতে রস কমে যায় বলে সবজি ক্ষেতে চাহিদামাফিক সেচ দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার, গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া, সারের উপরিপ্রয়োগ ও রোগবালাই প্রতিরোধের কাজগুলো নিয়মিত করতে হবে। শীতে গাছের গোড়ায় নিয়মিত সেচ দিতে হবে। গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে এবং আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
একে/এসআরএস