কম জমিতে বেশি উৎপাদনের তাগিদ
কৃষির সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এতে করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি বাড়বে। সবাই মিলে আমাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। দেশে যেভাবে শিল্পায়ন হচ্ছে ভবিষ্যতে কৃষি জমি আরও কমে যাবে। কম জমিতে উৎপাদন বাড়িয়ে আরও বেশি সফলতা আনতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ‘সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে’র সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ফার্মগেট সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এ সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রকল্পের কাজ সময়মত করা ও দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রকল্প পরিচালকদের সচেষ্ট থাকার তাগিদ দিয়েছেন কৃষি সচিব।
কৃষি সচিব বলেন, প্রকল্পের কাজ সময়মত করার পাশাপাশি দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রকল্প পরিচালকদের অনেক বেশি সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিতে হবে। অযথা প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হলে কৃষকদের যে সুযাগ-সুবিধা পাওয়ার কথা সেটা পাবে না।
তিনি বলেন, কৃষি তথ্যগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষকের মধ্যে পৌঁছানো গেলে কৃষিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।
কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে কৃষি সচিব বলেন, এ বিষয়ে সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও পলিসিগত সাপোর্ট দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে। এছাড়াও আমরা কৃষকদের আরেকটি সাপোর্ট দিচ্ছি কৃষি প্রণোদনা। এ প্রণোদনাগুলো দ্রুত ও সময়মত দিতে হবে। প্রযুক্তির সুবিধাগুলো সম্পর্কে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। এতে করে উৎপাদন খরচ কমে আসবে। তাহলে কৃষকরা কমমূল্যে পণ্য বিক্রি করে লাভবান হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের সদস্য ড. হামিদুর রহমান, বারটানের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান খান ও নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহাম্মদ মাইদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) থেকে বাস্তবায়িত ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে’র সফলতার ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে চর, হাওর ও দারিদ্র্য প্রবণ এলাকার পুষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য ‘সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পটি নেওয়া হয়। ডিএই ও বারটান যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দেশের ২৯টি জেলার ৮৮টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ১০৭কোটি টাকা। লিড এজেন্সি হিসেবে ডিএই’র অনুকূলে মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
একে/এসএম