গম-ভুট্টা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক, ভাল ফলনের জন্য যা করণীয়
রবি শস্য গম আর ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দেশের অধিকাংশ এলাকার কৃষি মাঠ গম আর ভুট্টার নতুন পাতায় ছেয়ে গেছে। দেশের অন্যতম প্রধান এ দুটি খাদ্যশস্যের অধিক ফলন পেতে কৃষককে সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
ঢাকা পোস্টের সাথে আলাপকালে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ফসলে মাঠে কৃষকেরা দানাদার ফসল গম ও ভুট্টা চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। মনে রাখতে হবে সময় মতো সঠিক কাজ করতে পারলে সফলতা আসবে। তাই কোন সময়ে কী কাজ বা পদক্ষেপ নিতে হবে তা জানা জরুরি।
এ কৃষি কর্মকর্তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বরাত দিয়ে জানান, চলতি মৌসুমে (২০২০-২১) তিন লাখ ছয় হাজার হেক্টর জমিতে গমের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিন লাখ তিন হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।
আর ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বলেন, চার লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে ৪৮ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় চার লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যে চাষ শুরু হয়েছে।
গমের পরিচর্যার বিষয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্র জানায়, গমের জমিতে যেখানে ঘন চারা রয়েছে তা পাতলা করে দিতে হবে। গম গাছ থেকে যদি শিষ বের হয় বা গম গাছের বয়স ৫৫ থেকে ৬০ দিন হয় তবে জরুরিভাবে গম ক্ষেতে একটি সেচ দিতে হবে।
ভালো ফলনের জন্য দানা গঠনের সময় আরেকবার সেচ দিতে হবে। গম ক্ষেতে ইঁদুর দমনের কাজটি সবাই মিলে একত্রে করতে হবে। গম চাষে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই এ নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
ভুট্টা চাষে যেসব পরিচর্যার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভুট্টা গাছে গোড়ার মাটি তুলে দিতে হবে। গোড়ার মাটির সাথে ইউরিয়া সার ভালো করে মিশিয়ে জমিতে একটি সেচ দিতে হবে। গাছের নিচের দিকের মরা পাতা ভেঙে দিতে হবে। এছাড়া ভুট্টার সাথে সাথী বা মিশ্র ফসলের চাষ করে থাকলে সেগুলোর প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করতে হবে। তবেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা।
মনে রাখতে হবে ভাল ফলন ঘরে তুলতে হবে অবশ্যই আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফসলের যত্ন ও পরিচর্যা করতে হবে।
একে/ওএফ