অকটেনচালিত ও ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের তুলনা, কোনটি সেরা
বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ব্যবহার ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পরিবেশবান্ধব এই বাইকগুলো একদিকে যেমন আরামদায়ক অপরদিকে বেশ কিছু সুবিধাও প্রদান করে থাকে।
অন্যদিকে অকটেনচালিত ইঞ্জিনের বাইকগুলো অধিক শক্তিশালী হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করায় অনেক বাইকারের কাছে এটি বরাবরই নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
তবে তুলনামূলক দুটি বাইকেরই কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক বাইক দুটির মাইলেজ, খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সীমাবদ্ধতা নিয়ে-
মাইলেজ ও জ্বালানি খরচ
বিজ্ঞাপন
বাইক ব্যাবহারকারীদের মনে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি মাথায় আসে তা হচ্ছে বাইক মাইলেজ কত দিবে এবং মাসিক আনুমানিক খরচ কত আসতে পারে? বর্তমানে লিটারপ্রতি পেট্রোলের মূল্য ১২১ টাকা এবং অকটেনের মূল্য ১২৫ টাকা।
অন্যদিকে অকটেনচালিত বাইকগুলো সাধারণত ৩০-৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ দিয়ে থাকে। সে হিসেবে যদি গড়ে প্রতিদিন ২০-২৫ কিলোমিটার চালানো হয়, তবে মাসে প্রায় ২৫০০-৩০০০ টাকা জ্বালানী খরচ হয়।
অন্যদিকে ইলেকট্রিক বাইকগুলো একবার ফুল চার্জে ৮০-১২০ কিলোমিটার চলতে পারে এবং একবার ফুল চার্জে খরচ হয় মাত্র ১৩-১৫ টাকা। সেই হিসেবে মাসে মাত্র ১০০ টাকার কমে আপনি সিটির ভিতরে ইলেকট্রিক বাইক ব্যাবহার করতে পারবেন।
যেহেতু ইলেকট্রিক বাইক একবার চার্জে প্রায় ৮০-১২০ কিলোমিটার পাড়ি দেয় তাই এই বাইকটি প্রতিদিন চার্জ করার প্রয়োজনও হয় না। আবার যেকোন জায়গার ইলেকট্রিক ২ পিনের সকেট থেকে বাইকটি চার্জ দিতে পারবেন।
মেইনটেইনেন্স খরচ
মূলত অকটেনচালিত বাইকের মেইনটেইনেন্স খরচ অনেক বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে, জ্বালানি তেলের পাশাপাশি এর সাথে ইঞ্জিন অয়েল, ব্রেক প্যাড, চেইন লুব, স্পেয়ার পার্টস, টুকটাক সার্ভিসিং ইত্যাদি প্রয়োজন পড়ে। তবে ইলেকট্রিক বাইকগুলোতে মেইনটেইনেন্স খরচ খুবই কম। শুধু ৫-৬ হাজার কিলোমিটার পর পর ব্রেক প্যাড পরিবর্তন করতে হয়।
এছাড়া ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি ১০০০ বার রিচার্জ করার পর এর ব্যাটারি হেলথ বা চার্জিং ক্যাপাসিটি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। তবে তুলনামূলক ব্যাটারির দাম অনেক কম। আবার কিছু ব্র্যান্ড ১৫-১৮ মাসের মধ্যে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্টও দিয়ে থাকে।
সীমাবদ্ধতা
অকটেন বাইকগুলো দীর্ঘ দূরত্বে চালানোর জন্য ভালো, কারণ পেট্রোল পাম্প সহজেই পাওয়া যায় এবং পুনরায় জ্বালানি ভরতে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ইলেকট্রিক বাইকগুলোকে চার্জ করতে সময় লাগে ৪-৬ ঘণ্টা এবং বাংলাদেশের মধ্যে পর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশনও নেই। তাই দীর্ঘ পথে চলতে এটি সমস্যার কারণ হতে পারে।
এমবি/এনএইচ