বাইক চালানোর সময় আমরা সাধারণত ক্লাচ চেপে অথবা ব্রেক কষে গতি কমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা জানি না যে, কীভাবে ইঞ্জিন ব্রেকের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও নিরাপদে বাইক নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

ইঞ্জিন ব্রেক এমন একটি কৌশল যা বাইক চালানোর গুণগত মান বাড়ায়, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমায় এবং রাইডারকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। 

তবে যন্ত্রের উপর ভরসা না করে নিজের কৌশলের উপর আস্থা রাখাটাই প্রকৃত রাইডারের পরিচয়। সেক্ষেত্রে জেনে নিতে হবে কিভাবে ইঞ্জিন ব্রেক করতে হয় ও এর সুবিধা সম্পর্কে-

ইঞ্জিন ব্রেক কী?

ইঞ্জিন ব্রেক হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ক্লাচ না চেপে বাইকের গিয়ার ধীরে ধীরে ডাউন করে গতি কমানোর পদ্ধতি। এতে বাইকের ইঞ্জিন নিজেই গতি নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে অতিরিক্ত ব্রেক চাপাতে হয় না এবং গাড়ির ব্যালেন্সও ভালো থাকে। 

এটি কোনো যান্ত্রিক ব্রেক নয়, বরং বাইকের ইঞ্জিনের নিজস্ব কম্প্রেশনের মাধ্যমে গতি হ্রাস করার একটি প্রাকৃতিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া। 

ইঞ্জিন ব্রেকের সুবিধা

বিশেষ করে ঢালু রাস্তা বা হঠাৎ স্পিড কমানোর প্রয়োজন হলে ইঞ্জিন ব্রেকিং খুব কার্যকরী। এতে গাড়ি হঠাৎ থামে না, বরং ধীরে ধীরে কমে, ফলে স্কিড করার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি ডিস্ক ব্রেক বা ড্রাম ব্রেকের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে না, ফলে ব্রেক সিস্টেম দীর্ঘস্থায়ী হয়। 

তবে অনেক নতুন চালকই এই কৌশল ব্যবহার না করে সরাসরি ক্লাচ চেপে ব্রেক কষে। ক্লাচ চাপার ফলে চাকার সাথে গিয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে ঘর্ষণবল কম হওয়ায় ব্রেক কষে বাইক নিয়ন্ত্রণ নিতে কঠিন হয়ে পড়ে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এতে বাইক হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই গিয়ার, ক্লাচ ও থ্রটলের সঠিক সমন্বয়ে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করলে রাইড হয় আরও নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত। 

ইঞ্জিন ব্রেকের বেশকিছু সুবিধা রয়েছে-  হঠাৎ ব্রেকিংয়েও বাইকের ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়। এর ফলে ব্রেক প্যাড, ডিস্ক বা ড্রাম সাশ্রয়ী হয়। ক্লাচ ও গিয়ারবক্সে চাপ কম পড়ে। পাহাড়ি বা ঢালু রাস্তায় ইঞ্জিন ব্রেক সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে।  

এমবি/এনএইচ