মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সিস্টেমে স্পার্ক প্লাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা জ্বালানির সঙ্গে বাতাসের মিশ্রণকে প্রজ্বলিত করে ইঞ্জিন চালু রাখে। কিন্তু এই প্লাগ যদি নষ্ট হয়ে যায় বা দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন মোটরসাইকেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা চালকের জন্য খুবই বিরক্তিকর পাশাপাশি যন্ত্রাংশের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণও হতে পারে। 

স্পার্ক প্লাগ যদি দুর্বল হয়ে যায় বা একেবারে নষ্ট হয়ে পড়ে, তবে ইঞ্জিনে জ্বালানির সঠিক প্রজ্বলন হয় না। ফলে ইঞ্জিন চালু হতে পারে না, বা স্টার্ট নিলেও কিছুক্ষণ পর হোঁচট খায়। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা পুরোনো প্লাগ থাকলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এমনকি তেল বা ব্যাটারি ঠিক থাকলেও প্লাগ দুর্বল হলে ইঞ্জিন স্টার্ট নিতেই চায় না। 

স্পার্ক প্লাগ খারাপ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ইঞ্জিন স্টার্ট নিতে দেরি হওয়া বা একেবারেই স্টার্ট না হওয়া। বিশেষ করে সকালে ঠান্ডা অবস্থায় মোটরসাইকেল চালু করতে গেলে বারবার কিক বা সেলফ দিলেও স্টার্ট না হওয়া। এছাড়া ইঞ্জিন মিসফায়ার বা হঠাৎ টুকটুক শব্দ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া, একটানা গতি না পাওয়া, এবং এক্সিলারেট করলে রেসপন্স কমে যাওয়া। এসবও স্পার্ক প্লাগ খারাপ হওয়ার লক্ষণ হয়ে থাকে। 

তাছাড়া একটি বড় লক্ষণ হলো ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি কমে যাওয়া। ভালো স্পার্ক প্লাগ না থাকলে জ্বালানি পুরোপুরি দাহ হয় না, ফলে বেশি তেল খরচ হয় কিন্তু পাওয়ার কম পাওয়া যায়। অনেক সময় ইঞ্জিনের অদ্ভুত শব্দ বা হালকা ধোঁয়া লক্ষ্য করা যায়, যা ইঞ্জিনে অসম্পূর্ণ জ্বালনির সংকেত দেয়। 

এ ধরনের সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত স্পার্ক প্লাগ চেক করে প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করা উচিত। তাছাড়া প্রতি ৮,০০০-১০,০০০ কিলোমিটার পরপর প্লাগ চেক করিয়ে নেওয়া উচিত। ভালো মানের প্লাগ ব্যবহার ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্ষণাবেক্ষণ করাই মোটরসাইকেলের স্থায়িত্ব এবং পারফরম্যান্স বজায় রাখার অন্যতম উপায়। 

এমবি/এমআইকে