বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘বশেমুরবিপ্রবির পাশে ঢাবি’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আন্দোলন চলাকালীন তারা বিচারের দাবিতে ‘ধর্ষকের স্পর্ধা বাড়তে কেন নেই বাধা; ধর্ষক ও ধর্ষণ রুখে দেবে জনগণ; ছাত্র-শিক্ষক এক হও; অনিরাপদ দেশ বিচার চাইলে ভোগান্তির নেই শেষ’ ইত্যাদি লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অরুনিমা তাহসিন বলেন, গোপালগঞ্জের গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। আমরা জানি এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তারপরও আমরা দাঁড়িয়েছি। গ্রেফতার হলেই ধর্ষণ কমে যায় না, বিচারহীনতার সংস্কৃতিও পরিবর্তন হয় না। আমরা অধিকাংশ সময় দেখি ধর্ষণের রিপোর্ট হলেও বিচার হয় না। আমরা এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির শেষ দেখতে চাই।

শামসুন্নাহার হলের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, আমরা সবসময় দেখি ঘটনা যেমনই হোক আন্দোলনে নামলে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এই ধরনের ঘটনা আমরা জাহাঙ্গীরনগরে দেখেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি, সাস্টে দেখেছি। এখন গোপালগঞ্জেও দেখছি। অহিংস শান্তিপূর্ণ দাবি জানানোর সময় এভাবে হামলা হওয়া কখনো কাম্য নয়। এই হামলা করার সংস্কৃতি যাতে বন্ধ হয় তার দাবিতে আজকের আমাদের এই মানববন্ধন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রামিম খান বলেন, আমরা দেখতে পাই মাত্র ৩ শতাংশ ধর্ষণের বিচার হয়। দেখা যায় ধর্ষণের পর হত্যা হলে শুধু সেগুলোর বিচার হয়। ধর্ষণের পর হত্যা হলে তারপর আমরা বিচার পাব, এমনটা কেন হবে? আমাদের দাবি সব ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে এবং এগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এইচআর/এমএইচএস