ডাচ বাংলা ব্যাংকের চলমান শিক্ষাবৃত্তি বন্ধের প্রতিবাদ এবং পুনরায় চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনটি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০২২ সালের তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) বৃত্তি ১ সপ্তাহের মধ্যে নবায়ন করা, ২০২০ সাল থেকে আটকে থাকা করোনা-পরবর্তী বৃত্তি ১ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা এবং বৃত্তিপ্রাপ্তির জন্য গ্র্যাজুয়েট লেভেলে ৩.৫০ সিজিপিএ–এর শর্ত তুলে নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ব্যাংকের বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েও ডাচ বাংলা ব্যাংকে বৃত্তির আবেদন করেছি। ডাচ বাংলা ব্যাংকে আবেদন করার কারণে আমরা অন্য কোনো জায়গায় আবেদন করতে পারিনি। আবেদন করলেই আমরা শর্ট লিস্টেড হয়ে গিয়েছি। আমাদের ডিজকোয়ালিফাই করা হয়েছে। এখন মাঝপথে বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে ডাচবাংলা কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা অন্য ব্যাংক থেকেও কোনো বৃত্তি নিতে পারছি না, আবার ডাচ বাংলার বৃত্তিও বন্ধ।

তারা বলেন, ব্যাংক আমাদের শুরুতে প্রতিমাসে ২৫০০ এবং পরে ৩০০০ করে বৃত্তি দিত। কিন্তু এখন মাঝপথে বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ২০১৯ সালে দেওয়া শর্তাবলীতে ৩.৫০ সিজিপিএ রাখার কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু তারা এখন এটা সংযুক্ত করেছে। এ কারণেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বাদ পড়ে যাবে।

তারা আরও বলেন, ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে তারা বৃত্তি চালু করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ২০২২ সালের বৃত্তি তারা জানুয়ারিতে নবায়ন করে চালু করার আশ্বাস দিয়েছিল। জানুয়ারিতে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে চালু করা হবে। আমাদের অনেকেই এ বৃত্তির উপর নির্ভর করে চলে। জেলা শহরগুলোতে যারা থাকেন তাদের থাকা-খাওয়া এ টাকা দিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাংক কোনো সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না।

এইচআর/এসকেডি/জেএস