বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে বিদ্রূপ করায় ইবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে বিদ্রূপ করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরিফ হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
সোমবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যে বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি অভিযুক্তের ফোনে পাওয়া যায়নি। আমরা ফোনটি রেখে দিয়েছি। প্রযুক্তির সাহায্যে আরো যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো হচ্ছিল। এ নিয়ে সকাল ১০টার দিকে মিম ইসলাম নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টে লেখা হয়, ‘ম্যাক্সিমাম ডিপার্টমেন্টে এখন পরীক্ষা চলে, এভাবে এত লাউডলি মাইক বাজালে পড়াশোনা কীভাবে করব!’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামন ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্টে লেখেন, ‘জাতীর আব্বুর ভাষণ। তুমি তো বিপক্ষে চলে যাচ্ছ।’ এরপর প্রতিউত্তরে তিনি আবার লেখেন, ‘তুমিতো জানো জাতীর আব্বুর এ শক্তিশালী ভাষণেই আজ জাতি স্বাধীন এবং সিংগাপুরের চেয়ে উন্নত। তাই জোরে বাজিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা জানানো হচ্ছে। না পড়লেও চলবে সিংগাপুর এটা।’
এ ঘটনায় আরিফুজ্জামানের শাস্তি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাকিব এবং ইবি ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আরিফ অভিযুক্তকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিকে বেঁধে মারধর করেন।
পরে রাত ১০টার দিকে সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম জুয়েল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আরিফকে (কটূক্তিকারী) ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে প্রক্টরের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনায় বসবেন বলে জানা গেছে।
রাকিব হোসেন/এইচকে