জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অবস্থান প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। বাংলার মানুষ যেভাবে জাতির জনককে শ্রদ্ধা করে আমি মনে করি বাংলার মানুষ সেসব ঘাতকদের দাঁত ভাঙা জবাব দিচ্ছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, সাবেক উপ-উপাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেন, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, এই দিনে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ঘাতকরা চেয়েছিল  বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যার সাহাসী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আসুন দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে অবস্থিত বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য। পরে সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি শোক র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি পদার্থ বিজ্ঞান ভবন, জুবায়ের সরণি হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এছাড়াও বেলা ১১ টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য।

এদিকে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে শিশু কিশোরদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও দুপুরে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী ক্লাব প্রাঙ্গণে গণভোজ এবং বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

আলকামা/আরএআর