ছাত্রলীগের দায়ের করা মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কারাবন্দি ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। মানববন্ধন থেকে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও ছাত্রলীগের হামলার বিচার দাবি করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোল্লা মোহাম্মদ ফারুকী আহসান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সংগঠক জাবির আহমেদ জুবেল, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগের নুসরাত তাবাসসুম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের মোয়াজ্জেম হোসেন, উর্দু বিভাগের আহনাফ সাঈদ খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, কোনো রকম উসকানি ছাড়াই ছাত্রলীগ হামলা করে। তারপর আবার পাশবিক হামলা চালায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হামলার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করার বদলে আমাদের গ্রেপ্তার করে। আদালত জামিন না দেওয়ায় তিন জন পরীক্ষা দিতে পারেনি। এভাবে সরকার বিচারব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছে। এভাবে অন্য দলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। আমরা অতি দ্রুত স্মরণ সভায় হামলা করার বিচার চাই।

আরও পড়ুন : ঢাবিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্ক্যান্ডিনেভিয়া’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, যুদ্ধাবস্থায়ও হাসপাতালে হামলা করার নজির বিশ্বে নেই। আহত অবস্থায় আবার পুলিশে দিয়েছে। সে মামলায় পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও আদালত জামিন না দিয়ে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা এই মানববন্ধন থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ছাত্রলীগের হামলার বিচার দাবি করছি।

উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাইদ খান বলেন, পুলিশ তাদের এমন সময়ে গ্রেপ্তার করেছে যে তারা চিকিৎসা পর্যন্ত  নিতে পারেনি। এভাবে তাদের গ্রেপ্তার এবং জামিন না দেওয়ার দৃষ্টান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ। ছাত্রলীগের এই হামলার বিচার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোল্লা মোহাম্মদ ফারুকী আহসান বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এমনভাবে দমন করা হয়েছে যে আর স্বাধীনভাবে এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই। আমাদের নিজেদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার টিকিয়ে রাখতে শুধু একটি স্মরণ সভা করার কারণে গ্রেপ্তার এই ২৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য দাঁড়ানো জরুরি। নানাভাবে বিচ্ছিন্ন-বিভক্ত এই ক্যাম্পাসকে বাঁচাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।

এইচআর/এসএসএইচ