অগ্নিসন্ত্রাসের ভয়াবহতা তুলে ধরে ঢাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বজায় থাকে-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক প্রাঙ্গণে (টিএসসি) আয়োজিত ‘জ্বালাও-পোড়াও-অগ্নিসন্ত্রাস : মানুষ হত্যার রাজনীতি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের দাবি, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির নজির রয়েছে। বিরোধী দলগুলোকে আগের বিভিন্ন সময়ে এমন করতে দেখা গেছে। এতে অর্থনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয়। তাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আর অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি দেখতে চান না তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ শর্মা বলেন, টিএসসিতে এসে হঠাৎ এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দিকে চোখ পড়লো। বর্তমানে দেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে। ২০১৪-১৫ সালের দিকে মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারতো না। তাদের মধ্যে সবসময় আতঙ্ক ও আশঙ্কা কাজ করতো। দেশবিরোধী মৌলবাদী শক্তিরা মানুষের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এখন আবার জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তথা আপামর জনতা তাদের এই ঘৃণ্য তৎপরতাকে রুখে দেবে।
বিজ্ঞাপন
অগ্নিসন্ত্রাস বিরোধী এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত। এ উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, দেশবিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নি সন্ত্রাস, মানুষ হত্যার সহিংসতা চালিয়েছিল, সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সেই জনবিরোধী পুরোনো শক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। দেশের আপামর শিক্ষার্থী সমাজ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে দেশের স্বার্থ, জনতার স্বার্থ প্রহরীর মতো পাহারা দিয়েছে। ওই অপশক্তি যদি আবারও আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করতে চায় তবে তা আমাদের সমাজকে আবারও খাদের কিনারে নিয়ে যাবে। তাই এখনই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।
এইচআর/জেডএস