গত ১৫ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে সভাটি। স্থগিত করার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না সিন্ডিকেট সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফোন করে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের কথা। কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

একই কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, আমাকে সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের বিষয়টি এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন। তবে কী কারণে স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে কবে আবার সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হবে তা কিছুই জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানকে একাধিকাবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা কেটে দেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, উপাচার্য তার ক্ষমতাবলে সভা স্থগিত করতে পারেন। তবে এভাবে সভা স্থগিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি নির্ধারণ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে সেশনজট ও অন্যান্য জটিলতা বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বেশিরভাগ সিন্ডিকেট মেম্বার উপস্থিত না থাকার কারণে আজকের সভাটি স্থগিত করা হয়েছে।

কবে নাগাদ সভা আহ্বান করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়ত আগামী সপ্তাহে সভা আহ্বান করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছে থাকার পক্ষে মত দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের আশঙ্কা ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভর্তি সংক্রান্ত চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছেন কেউ কেউ।

এমএল/এসকেডি