বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মহাসমারোহে উদযাপিত উৎসব পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে বৈশাখের আগমন ঘটে। বৈশাখের এই আগমনকে উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে এবং সবার মাঝে বাঙালির গৌরবময় ঐতিহ্যকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব আয়োজন করে ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩০’।

সোমবার (গত ৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহরের যান্ত্রিকতায় বাঙালির পুরোনো সংস্কৃতি ‘বৈশাখী মেলা’ বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই সংস্কৃতি নতুনরূপে উপস্থাপনের লক্ষ্যেই এই বিশেষ উদ্যোগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আতিকুল ইসলাম প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. ইসমাইল হোসাইন এবং স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর ড. গৌড় গোবিন্দ গোস্বামীর উপস্থিতিতে সোমবার সকালে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ক্লাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেলায় স্টলের ব্যবস্থা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্টলের মাধ্যমে মেলায় অংশ নেন। স্টলগুলোতে বাহারি পদের খাবার, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, শখের হাঁড়ি, আকর্ষণীয় অলঙ্কারসহ অসংখ্য রঙিন দর্শনীয় বস্তু লক্ষ করা গেছে। স্টলগুলোও ছিল বাংলা শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে নাগরদোলার ব্যবস্থা করা হয়‌।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাদের কোলাহলে সরগরম হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই প্রদর্শনী দেখতে ভারতের কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এই প্রাণবন্ত মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।

বৈশাখী মেলার আয়োজন নিয়ে ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি ঐতিহ্যের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে বৈশাখী মেলা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে আধুনিকতায় আমাদের এই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঙালি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বৈশাখী মেলার আয়োজন। এই মেলার মাধ্যমে সবাই নতুন করে বাঙালি শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ হবে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের উদ্যোগে এমন একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পেরে আমরা গর্বিত’।

/এসএসএইচ/