ঢাবিতে ৯১৪ কোটি টাকার বাজেট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বাজেট ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৬৪ শতাংশ। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা খাতে ০.০৮ শতাংশ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি বাবদ মাত্র ০.৪৪ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেট উপস্থাপনকালে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় গবেষণার কথা বললেও গবেষণায় বরাদ্দ যৎসামান্য। এটা বৃদ্ধি করা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে।
বিজ্ঞাপন
ইউজিসি কতৃক বরাদ্দকৃত বাজেটে অসন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বলেন, গবেষণা ও প্রযুক্তিতে এত অল্প বাজেটে আমরা কখনোই স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে পারব না।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করার চিন্তা করছেন তখন আমরা এই স্বল্প পরিসরে বাজেট দিয়ে কীভাবে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন করব।
ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিকল্পনা রয়েছে তার জন্য যদি পর্যাপ্ত বাজেট দেওয়া হতো তাহলে এসব বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিন্তু আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট পাচ্ছি না। গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানোর জন্য তিনি ঘাটতি বাজেট অধিক ধরার পরামর্শ দেন। কারণ ঘাটতি বাজেট অধিক হারে ধরা হলে পরবর্তীতে তার কিছুটা হলেও বেশি বরাদ্দ পাওয়া যায়।
এদিকে ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৭২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ৬৮.২৯ শতাংশ; অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৩.৬৯ শতাংশ; পণ্য ও সেবা বাবদ ২০৮ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২২.৭৬ শতাংশ এবং মূলধন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৩.৫৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিমক থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৫৮ শতাংশ।
এইচআর/ওএফ