মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষ্যে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, বিজয় র‌্যালি এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম (অব.) প্রধান অতিথি ও বঙ্গবন্ধুর সহচর অ্যাডভোকেট মাঈনুদ্দিন মিয়াজী প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম ওয়াজেদ কবির এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, বাঙালি জাতি মূলত সত্তর সালের নির্বাচনের মাধ্যমেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। বাকি ছিল শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও একটি বিজয় ঘোষণা। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই কাজটিই করেছিলেন।

সোনার বাংলা গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশে অধিক মানসম্মত গবেষণা নেই। আগামীর বাংলাদেশকে যদি এগিয়ে নিতে চাই, তবে স্নাতক পাস শেষে শুধু চাকরি নয়, অবশ্যই গবেষণা খাতে জোর দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালের অস্থায়ী সরকারের মূল কথা ছিল সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা। এই তিন অনুষঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হলেই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য হাসিল হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল এক হাজার কোটি টাকার নিচে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে আজ সেই বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ। তবে আরও এগিয়ে নিতে হলে বাংলাদেশকে অনুভব করতে হবে, ঠিক যেমনটি একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা অনুভব করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাঈনুদ্দিন মিয়াজী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের নানা প্রেক্ষাপট আলোচনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, সম্ভাবনাময়ী একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এই সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার করতে চাইলে নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে। এসময় তিনি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ বিশেষত বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এর আগে ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী বিজয় দিবস উদযাপন কর্মসূচি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এসএসএইচ