এআইইউবি’র মিডিয়া অ্যান্ড ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগে সেমিনার
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর মিডিয়া ও গণযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে গত ৭ ডিসেম্বর ‘এআই ইন ফিল্ম অ্যান্ড অ্যানিমেশন: এ প্রফেশনাল গাইড’ শীর্ষক জেম্যাস সেমিনার সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করা হয়েছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুম-এ আয়োজিত ওয়েবিনারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে সিনেমা ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রি বদলে দিচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনভিত্তিক এবিএস-সিবিএন ফিল্ম প্রোডাকশন্স ইনকর্পোরেশন (স্টার সিনেমা) এবং টেকনিক্যাল সার্ভিসেস, ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান জোসেফ ডেসমন্ড ক্রুয়েল এবং ফিলিপাইনভিত্তিক আর্ট ডিরেক্টর এবং অ্যানিমেশন ডিজাইনার হেনড্রিক গঞ্জালেস। ওয়েবিনারে বিশিষ্ট বক্তারা তাদের কর্ম দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
বিজ্ঞাপন
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে, এআইইউবি এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরী ওয়েবিনারে সবাইকে স্বাগত জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এআই যে যুগান্তকারী বড় পরিবর্তন আনছে সেটা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি মনে করেন, এআই মানুষকে চাকরির বাজার থেকে সরিয়ে দেবে না বরং বিশ্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
এআইইউবির এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে একই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ভবিষ্যতে মানব ও এআইয়ের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ফিলিপাইনের আর্ট ডিরেক্টর এবং অ্যানিমেশন ডিজাইনার হেনড্রিক গঞ্জালেস একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। হেনড্রিক গঞ্জালেস এআই-কে একটি সম্ভাবনাময় শক্তিশালী ও সময় সাশ্রয়ী টুল হিসেবে বিবেচনার ওপর জোর দেন। তিনি এআইয়ের নৈতিক এবং দায়িত্বশীল ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
আলোচক জোসেফ ডেসমন্ড ক্রুয়েল ওয়েবিনারে ফিল্ম এবং অ্যানিমেশনে এআইয়ের বর্তমান অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহারের কারিগরি দিকসমূহের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। জোসেফ ডেসমন্ড ক্রুয়েল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভবিষ্যৎ কাজের ধরন এবং দায়িত্ব কেমন হবে তা নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি স্বীকার করেন যে, এআই পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং একই সঙ্গে এটি নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রও তৈরি করবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে ভবিষ্যতে এআই বিষয়ে দক্ষ হিসেবে নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন এমএমসি বিভাগের শিক্ষিকা মিস রানি এলেন ভি রামোস। এই ওয়েবিনারের মাধ্যেমে এআইইউবি শিক্ষার্থীরা এআইয়ের কারিগরি ব্যবহার সম্পর্কে জানার ও শেখার সুযোগ লাভ করে। এছাড়াও ওয়েবিনারে এআইইউবি’র বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ