ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নিতে এসে মারামারিতে জড়িয়েছেন ছাত্র সংগঠনটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন ছুরিকাঘাতের শিকার হন। তার অবস্থা গুরুতর।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিলন চত্বরে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগ এবং চকবাজার থানা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তির নাম আবির হোসেন শামিম। তিনি চকবাজার থানা ছাত্রলীগের কর্মী। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শামিমের অভিযোগ, সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তওসীফ আহমেদ ফাহাদের নেতৃত্বে তাদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত শামীম বলেন, চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিউল্লাহ রিয়াদ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাচ চত্বরে আসার পর মিছিলের মাঝখানে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আসা মিছিলটি ঢুকে যায়। পরে এটি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে আমাদের সভাপতি রিয়াদ ভাই দুইপক্ষকে শান্ত করে সেখানেই ঘটনার মীমাংসা করে দেন। এরপর আমাদের মিছিলটি মিলন চত্বরের সামনে গেলে পিছন থেকে তারা অতর্কিত আমাদের ইট মারতে শুরু করে। আমাদের ছেলেরা ঘটনার প্রতিবাদে ট্রাক থেকে নেমে বাকবিতণ্ডায় জড়ালে তারা আমাদের উপর অতর্কিত বাঁশ-লাঠি দিয়ে হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ওপর আঘাত করে। এতে আমার ফুসফুস পর্যন্ত জখমপ্রাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া, আমাদের আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের বাঁশের কঞ্চির আঘাতে মাথা ফেটে গেছে। আরেকজন লাঠির আঘাতে হাতে জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন।

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তওসীফ আহমেদ ফাহাদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী। আর চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিউল্লাহ রিয়াদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির অনুসারী।

চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিউল্লাহ রিয়াদ বলেন, সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তওসীফ আহমেদ ফাহাদের নেতৃত্বে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ঘটনাটি মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ভাইকে জানিয়েছি। তিনি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এটির বিচার করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। তাই এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।

অভিযোগ অস্বীকার করে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তওসীফ আহমেদ ফাহাদ বলেন, আমাদের সাথে কারও কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। সুন্দরভাবে প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে আমরা চলে এসেছি। তবে, আমাদের মিছিলের সামনে কামরাঙ্গীরচর থানার সঙ্গে শাহবাগ ছাত্রলীগের মধ্যে বড় ধরনের গ্যাঞ্জাম হতে দেখেছি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। আমরা এটা তদন্ত করব।

কেএইচ/এমজে