জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এই প্যানেল থেকে ১৫টি পদের বিপরীতে সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ ১১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। 

অপরদিকে উপাচার্যবিরোধী বিএনপিপন্থি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত একাংশের প্যানেল ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ থেকে সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি। 

এর আগে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সভাপতি পদে  শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক এম শামীম কায়সার পেয়েছেন ২৪০ ভোট।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের বিজয়ীরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. এজহারুল ইসলাম। এই প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন- নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক কেএম খাইরুল আলম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রনি, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত বনিক।

অন্যদিকে শিক্ষক ঐক্য পরিষদ প্যানেলের অন্যান্য জয়ী প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, নির্বাহী সদস্য পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিভাগের অধ্যাপক আইরীন আখতার।

আরএআর