জাবিতে দুই হলের মধ্যবর্তী রাস্তা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক জব্বার হল ও শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা। এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্যসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। পরে বিকাল ৫টার দিকে তালা ভেঙে শিক্ষকরা উপাচার্যকে বের করে নিয়ে যান।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুই হলের দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হল থেকে ক্লাস, খাবার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে জেনারেটর বাজার সংলগ্ন একটি রাস্তা ব্যবহার করেন। বেশিরভাগ সময় যাতায়াতের জন্য রিকশা পাওয়া যায় না। বর্তমানে এই দীর্ঘ রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করতে তাদের দ্বিগুণ অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনকে ব্যাহত করছে। তাই আসন্ন রমজানে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শহীদ রফিক জব্বার হল ও শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবিগুলো শুনেছি। আগামী ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সেখানে তাদের দাবিগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৫ মার্চ রাতে দুই হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় নির্মিত দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে শহীদ রফিক জব্বার হলের সাথে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেরদিন শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় এস্কেভেটর দিয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে সেখানে পানি ভর্তি রেখেছে। এতে দুই হলের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারি মাসে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৬টি হলের মধ্যে মেয়েদের ১টি ও ছেলেদের ১টি আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়। এ সময় ছেলেদের নতুন হল (শেখ রাসেল হল) সংলগ্ন শহীদ রফিক জব্বার হলের কিছু ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী কয়েকটি দাবির কথা তুলে রাতারাতি দেয়াল উঠিয়ে দেন। এতে বিপাকে পড়েন শেখ রাসেল হলের হাজারখানেক শিক্ষার্থী।
মেহেরব হোসেন/এসকেডি