শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এ গণইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা রোজা ও ইফতারের গুরুত্ব বর্ণনা করেন এবং শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞাকে একটি ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া, তারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য আহ্বান করেন।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান বলেন, ইফতার আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিল সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি যে, সম্প্রতি রমজানে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই, তারা যেন কখনই এ ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে।

কম্পিউটার সায়েন্স ও ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কায়সার মাহমুদ বলেন, ক্যাম্পাসে বসে সমবেতভাবে ইফতার করা শিক্ষার্থীদের কাছে উৎসবের মতো। কিন্তু দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা কেড়ে নিতে চায়। আমরা তাদের এ মনগড়া সিদ্ধান্তকে বয়কট করছি।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কিন্তু এ শান্তিকে নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে। তারই একটি ইস্যু হিসেবে পবিত্র রমজান মাসে ইফতারে মতো বিষয়কে নিয়ে ইস্যু তৈরির অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে গণইফতারের মাধ্যমে এই অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গণইফতারের ঘণ্টা খানেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন। এরপর ইফতার সামনে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসে আজানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় সমবেতভাবে দোয়া পরার পরপরই ইফতারের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।

শিপন তালুকদার/কেএ