ল্যাবএইডে জাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিচার চেয়ে মানববন্ধন
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
বিজ্ঞাপন
মৃত রাহিব রেজা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও ল্যাবএইডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে মৃত রাহিব রেজার স্ত্রী তাসমিয়া আফরোজ বলেন, ল্যাবএইডের ভুল চিকিৎসায় আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাছে আমাদের দাবি থাকবে তারা যেন শুধু ল্যাবএইডের বক্তব্যকে প্রাধান্য না দেয়। আমরা যারা পরিবারের মানুষ আছি, রাহিবের বন্ধুরা যারা ছিল তাদের কাছ থেকেও যাতে তথ্য নেওয়া হয়। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে যেন এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমরা এই ঘটনায় ল্যাবএইড এবং ডা. স্বপ্নীলের লাইসেন্স বাতিল চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন রাজিব বলেন, দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরাই একমাত্র দেশ যারা প্রাইভেট হাসপাতালে বেশি টাকা খরচ করি চিকিৎসার জন্য। কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ইদানিং অরাজকতা বেড়েই চলছে। আমরা চিকিৎসক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও ল্যাবএইডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি চাই।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এন্ডোস্কপি করতে রাহিব রেজা ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। তার এন্ডোস্কপি করার চিকিৎসক ছিলেন ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। এন্ডোস্কপি করার পরপরই অ্যানেসথেসিয়ার কারণে রাহিবের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
মেহেরব হোসেন/এমএএস