কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলজুড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হলের প্রধান ভবনের ফটকে অবস্থান নেন। পরে ভোরে হলের পদ প্রত্যাশী নেতারা হলগেটে এসে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত দেড়টা থেকে হলজুড়ে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে হলগেটে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রলীগের নেতারা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতারা হলেন, হলের সহসভাপতি এবং সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী সাকিবুর রহমান সায়েম, জাওয়াদ, জিলানী, নাঈম, তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী রাব্বি হক ও শয়নের অনুসারী শরিফ। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী নেতা।  

ঘটনার পরে হল ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেটদের রুমে ভাঙচুর চালান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের স্থায়ী নিষিদ্ধ চেয়ে প্রভোস্টের কাছে দাবি জানান। 

এর আগে, রাত দেড়টার দিকে হলের শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনের পক্ষে একটি মিছিল নিয়ে হলের টিনশেড থেকে প্রধান ভবন হয়ে বর্ধিত ভবনের (এক্সটেনশন বিল্ডিং) দিকে যান। এ সময় হলে থাকা ছাত্রলীগের কয়েকজন পদ প্রত্যাশী দ্রুত হল ছাড়েন। 

শিক্ষার্থীরা ‘জহু হলে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন নীরব কেন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। পাশাপাশি হলের ফটকে থাকা ছাত্রলীগের ব্যানার-ফ্যাস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর হলের রাস্তায় এগুলো দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে, রাত সাড়ে তিনটার দিকে হলের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা বাড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে হলের আবাসিক শিক্ষকরা প্রধান ফটকের সামনে যান। কিছুক্ষণ পরে ফেরত এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন এবং শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। 

সার্বিক বিষয়ে জল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো আব্দুর রহিম বলেন, আমরা উপস্থিত থাকার পরেও তারা এমন কাজ করেছে, যা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। আমরা হলে ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব এবং জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব। 

কেএইচ/কেএ