হল ছেড়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের তিনটি হলই ছেড়ে গেছেন তারা। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল এখনো খালি হয়নি।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, অগ্নিবীণা হল ও দোলন চাপা হলের শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যেতে শুরু করেন। 

বঙ্গমাতা হলের শিক্ষার্থীদেরও হল ছাড়ার প্রস্তুতির কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি। তিনি বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টিও নজরদারি করা হচ্ছে। 

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকল শিক্ষার্থীকে ১৭ জুলাই বেলা ১১টার টার মধ্যে আবাসিক হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

এর আগে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম এবং হল বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। 

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আদনান সানি বলেন, যাদের বাসা অনেক দূরে, তারা একদিনের মধ্যে হঠাৎ করে কেমন করে বাসায় যাবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা জানাই। আর্থিক বিষয়াদি ও সময় এ সবকিছুই বিবেচনা করা উচিত ছিল।

আরেক শিক্ষার্থী রেজাউন নবি অন্তর বলেন, যাদের বাসা উত্তরবঙ্গে, বাড়িতে ফেরার পথে তাদের কোনও ক্ষতি হলে সেই দায় কি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নেবে? কোনও ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষতি হলে অবশ্যই এই দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে নিতে হবে।

শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ বলেন, এটা যদি একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটি হয়, তাহলে ইউজিসির নির্দেশে কীভাবে বন্ধ হয়ে যায়? আবার কর্মবিরতিতে থাকা প্রশাসনের লোকগুলো সাইন করে এটা পাশ করে কীভাবে?

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/কেএ