রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে তাতে প্রশাসনিক ভবনসহ ৯টি হলের ১৫৮টি কক্ষে ভাংচুর করা হয়েছে। এতে আনুমানিক ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

হল খোলার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা হল খুলতে চাই। কিন্তু এর আগে হলগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিকে ৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও তদন্ত শেষ হলেই আমরা হলগুলো মেরামতের কাজ শুরু করবো। হল মেরামতের কাজ শেষ হলেই হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। 

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন আবাসিক হল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য। 

এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তরিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ,  জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিমা আক্তার, পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোকছিদুল হক, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক ড. সাদিকুল ইসলাম সাগর ও সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। 

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাসিরুদ্দিন বলেন, ১৬ তারিখে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আড়ালে একদল কুচক্রী মহল আমাদের হলে প্রবেশ করে প্রায় ১১টি কক্ষে ভাঙচুর চালান। এতে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার হলের। এ ছাড়াও প্রভোস্ট কক্ষ এবং হলের মূল ফটকের জানালার কাচ ভাঙচুর চালান তারা। 

জুবায়ের জিসান/এনএফ