গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের সুফলকে ভিন্ন খাতে নিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য।

বুধবার (৭ আগস্ট) নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৭৫ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও লজ্জাজনক পলায়নের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকগণ মনে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করার ফলে ছাত্র আন্দোলনের যে প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে সেটিকে প্রতিহত করতে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্রে মেতেছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্থিতিশীলতাকেও বাধাগ্রস্ত করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। 

নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা বলেন, এ জাতীয় হীন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিপ্লবী জনতা সোচ্চার এবং সজাগ থেকে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এবং নিজ নিজ এলাকায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়কে রক্ষা করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংস চেষ্টার বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করবে।

বিবৃতিদাতা শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ইব্রাহিম হোসেন,  দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী, ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রির অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নেছারুল করিম, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসাইন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.কামাল উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসানসহ ৭৫ জন।

এমএসএ