জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেদখলে থাকা ধূপখোলা খেলার মাঠ বিশ্ববিদ্যালয়কে দখলে দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল চারটায় ঢাকা জেলা প্রশাসক এ মাঠের দখল হস্তান্তর করেন। 

এদিন বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পায়ে হেঁটে ধূপখোলা মাঠে যান ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী।সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ধুপখোলা মাঠের ৫.৩২ একরের মধ্যে সাড়ে চার একর জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতেই মাঠের ফটকে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ' লেখা সংবলিত নাম ফলক ব্যানার টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ফুটবল পাসিংয়ের মাধ্যমে মাঠ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।

এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ তাদেরকে হস্তান্তরের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা হলো। আমি চাই, এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা স্থায়ী সাইনবোর্ড হোক। আপনাদের অসংখ্য হল বেদখল হয়ে গেছে, দুর্বৃত্তরা দখল করে নিয়েছে। আপনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নির্বাচন করুন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন আপনাদের সব
হল উদ্ধার করবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, এই ধুপখোলা মাঠে দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করে আসছে। কিন্তু করোনাকালীন হুট করে মাঠটি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হলো। কী কারণে মাঠটি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হলো, তা আমি এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। আমি আশা করব, জেলা প্রশাসন আমাদেরকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। এ সময় কোষাধ্যক্ষ ধুপখোলা মাঠে খুব দ্রুত একটি টুর্নামেন্টে আয়োজন করার ঘোষণা দেন।

এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার মাঠটি দখল করে নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তারপর থেকেই মাঠের কোনো কর্তৃত্ব ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

এমএল/জেডএস