এক ধ্বংসস্তূপের ওপর ড. ইউনূসের সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, দীর্ঘ ১৬ বছরের স্তূপীকৃত জঞ্জাল পরিষ্কার করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্রের (টিএসপিটি) পরিচালক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য বলেন।

ড. এনায়েত উল্যা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকার তাদের কাজ শুরু করতেই কয়েকটি ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হয়। এরমধ্যে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরগণ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোয়া তুলে একটি অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পালটা অভ্যুত্থানের সুযোগ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের যৌথ উদ্যোগে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এ ধরনের তৎপরতা আমাদের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার’ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিরাট বাধা সৃষ্টি করবে। মানুষ আবারও হতাশায় নিমজ্জিত হবে। পরিণামে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠবে এবং তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাদের বক্তব্য, কার্যক্রম সুবিবেচিত হতে হবে। জনগণ যদি বর্তমান ধারার রাজনীতির বিকল্প খুঁজে না পায় তাহলে জাতির জন্য তা চরম ভোগান্তির কারণ হবে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে আমাদের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার’ আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে দেবে। যদি তা হয় তবে তা হবে আমাদের জাতির জন্য চরম দুর্গতি। যা থেকে আবার মুক্তি পাওয়া দুরূহ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভাজন চাই না, ঐক্য চাই। একক কোনো দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে বর্তমান বাংলাদেশের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে সুন্দর ভবিষ্যৎ। আমাদের বিশ্বাস, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের ছাত্রসমাজ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাবে। এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশার আলোকে নিজেদেরকে পুনর্গঠন করে, বিন্যস্ত করে দেশ পরিচালনার জন্য উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হক, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক এবং অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোর্শেদুল হকক।

আতিকুর রহমান/এএমকে