ইনসেটে অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ডান হাত এবং ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তিনি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (আইআইসিটি) সাবেক পরিচালক। 

স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্যে সিন্ডিকেট, নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথেচ্ছা গাড়ি ব্যবহার, একাডেমিক কাজে অবহেলা এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হয়রানিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। 

জানা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্ধ সেন হত্যা মামলার আসামি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনসহ অনেকেই। তবে নিয়মের বেড়াজালে এখনো দেশ ছাড়তে পারেননি নানা অনিয়মে অভিযুক্ত অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম। দেশ ছেড়ে যেতে নানা পাঁয়তারা করছেন তিনি। দেশ ছেড়ে যেতে গত ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির আবেদন করেন তিনি। তবে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় তার ছুটি মঞ্জুর হয়নি। তবে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছেন বলেও খোঁজ পাওয়া গেছে।

এদিকে অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের সীমাহীন দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাবেক এবং বর্তমান উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন দপ্তর প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকা কামিয়েছেন অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম। 

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের সিলেট শহরে দুটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার পরিবার কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন বলে জানা গেছে। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি গত ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রায় ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ঘন ঘন কানাডায় যাতায়াত এবং আসা-যাওয়ার ফলে তার অর্থনৈতিক উৎস্য নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট শহরের বারুতখানা পয়েন্টের জিন্দাবাজারে অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের একটি ফ্ল্যাট এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা সুরমা আবাসিক এলাকায় তার আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট শিক্ষা ছুটি নিয়েছেন পাঁচবার। তিনি তার মোট চাকরিকালের ৯৯০০ দিনে (২৭ বছর) মোট শিক্ষা ছুটি ভোগ করেছেন ২৫৫৬ দিন (প্রায় ৭ বছরের অধিক)। গত ঈদুল ফিতরের বন্ধে নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি কানাডায় চলে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিতে বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক দেশের বাইরে যেতে হলে প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হয়। সাবেক উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন সে সময় এ ব্যবস্থা করে দেন।অথচ তিনি সে সময় আইআইসিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এত কিছুর পরও তিনি এখন আবারও স্যাবাটিক্যাল ছুটি এবং পরিবারের সঙ্গে কানাডায় বসবাসের জন্য ১ বছরের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ছুটির জন্য তিনি আবেদন করেন রেজিস্ট্রার বরাবর। এর কপিও হাতে এসেছে এই প্রতিবেদকের। 

তবে শিক্ষক-কর্মকর্তারা বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে বাঁচতেই তিনি দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম না থাকলেও এসব নিয়োগের প্রশ্ন করা, খাতা দেখা, রেজাল্ট প্রকাশ করা এমনকি ভাইভা বোর্ডেও উপস্থিত থাকতেন অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম। নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের পরীক্ষা নিতেন একা তার কার্যালয় আইআইসিটি ভবনে। এমনকি কিছু কিছু নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছাড়া ভাইভা নিয়েই নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে তৎকালীন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একাধিক কর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা পোস্টকে। মৌখিকভাবেই সেসব নিয়োগ বোর্ডে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তাকে রেখেছিলেন বলে জানান তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার পর সেসব নিয়োগ বোর্ডে তাকে ‘আমন্ত্রিত’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওইসব নিয়োগ বোর্ডে শুধু তার নিজ এলাকা কুমিল্লার শিক্ষকদেরই রাখতেন। সেসময় সেখানে পাঁচজন শিক্ষকের চারজনই থাকতেন কুমিল্লার। অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের বাড়িও কুমিল্লা জেলায়। নিয়োগ বোর্ডে ক্ষমতাবলে কোষাধ্যক্ষ থাকতেন, একমাত্র তিনিই ছিলেন কুমিল্লার বাইরের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের এসব নিয়োগের প্রশ্ন করা, খাতা মূল্যায়ন করা, রেজাল্ট প্রকাশ করার ঘটনা নজিরবিহীন। তবে এর পেছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে নিয়োগে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগে দর কষাকষির সময়  অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের সাথে দেখা করতে গেলে মোবাইল কিংবা অন্য কোনো ডিভাইস নেওয়া যেত না বলে জানা গেছে। বিভিন্ন চ্যানেলে এ দরকষাকষি হতো। একজন কর্মকর্তা এবং পরিবহন দপ্তরে নিয়োজিত একজন ড্রাইভার এসব অর্থ লেনদেনে ভূমিকা পালন করতেন। 

ছেলেকে চাকরি দেবেন বলে একটি মাধ্যমে অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ড্রাইভারের কাছে অর্থ দাবি করেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। পরবর্তীতে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ছেলের চাকরি হয়নি বলে জানান তিনি। অন্যদিকে তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার মো. সফিকুল ইসলামকে প্রথমে আউট সোর্সিং এবং পরে তার সরকারি চাকরি পাওয়ার বয়স শেষ হয়ে যাওয়ার পর আউট সোর্সিংয়ে তার চাকরির বয়স হিসেব করে উপাচার্যকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি স্থায়ীকরণ করান অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম। সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তার এক ভাইয়ের রেফারেন্সে তিনি উপাচার্যের বাংলোত কর্মচারী নিয়োগ ও তার নিকটাত্মীয়ের স্ত্রীকে ছাত্রী হলে চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অর্থ ছাড়া যেসব কর্মচারী ও কর্মকর্তার চাকরি হয়েছে তার বেশির ভাগই তার আত্মীয় কিংবা নিজ এলাকার। এভাবে নিয়োগকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২৫ জনের একটি তালিকা হাতে এসেছে এই প্রতিবেদকের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন দপ্তরে কাকে চুক্তিতে রাখা হবে, কার মেয়াদ বৃদ্ধি হবে, কাকে সরিয়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে সে বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতেন অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম। এমনকি কোন শিক্ষককে ছুটি দেওয়া হবে আর কাকে দেওয়া হবে না তা নির্ভর করত তার ওপর। তিনি কোনো কারণে কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তার প্রতি বিরাগভাজন হলে তার নথি বা কোনো আবেদন আটকে দেওয়ার অভিযোগ অনেক পুরোনো। জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আওয়ামীপন্থী এক শিক্ষককেও চরম হয়রানি করিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তার চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করাতে জহিরুল ইসলামকে বিমানের টিকিটও কিনে দেন বলে ওই দপ্তরের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে তৎকালীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরিতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের অভিযোগও রয়েছে অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের এক আত্মীয়কে ই-সাইন প্রজেক্টের কাজ দেওয়া হয়। যেখানে সার্টিফিকেটে প্রতিটি স্বাক্ষরের জন্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু একই কাজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল স্বাক্ষর প্রতি তার অর্ধেকেরও কম টাকা করে নেয় বলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। ওই অতিরিক্ত টাকায় তিনিও কমিশন নিতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন দপ্তর প্রধানের ব্যবহারের জন্য আলাদা গাড়ি না থাকলেও অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের জন্য ২৪ ঘণ্টা আলাদা ‘হাইয়েস’ গাড়ি বরাদ্দ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তার ব্যক্তিগত কাজে এবং আত্মীয় স্বজনদের কাজে এসি গাড়ি ব্যবহার করতেন তিনি। অন্য কোনো ইনস্টিটিউট প্রধান কিংবা বিভাগীয় প্রধান এমনকি পরিবহন প্রশাসকও গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেতেন না।

পরিবহন দপ্তরের তৎকালীন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, জহিরুল ইসলামের জন্য উপাচার্যের দপ্তর থেকে গাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়।

উপাচার্যের দপ্তরে কর্মরত এক কর্মচারী নাম না উল্লেখ করার শর্তে বলেন, অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম সব সময়ই উপাচার্যের অফিসে আর তার বাসায় সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন। একাডেমিক কাজে সময় কম দিয়ে সারাদিন উপাচার্যের অফিসেই থাকতেন। সন্ধ্যার পর থেকে চলে আসতেন উপাচার্যের বাংলোতে। উপাচার্য স্যারকে মাঝে মাঝে তিনি ওষুধও খাওয়াতেন। তার বিনা অনুমতিতে অন্য কোনো মতাদর্শের কেউ বাংলোতে ঢুকতে পারত না। উনি আমাদের সঙ্গে খুবই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলতেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন।

নাম উল্লেখ না করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক এক শিক্ষক নেতা বলেন, নির্বাচিত বডি যেমন শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়নসহ সবাইকে নিয়মিত তার নিকট ধরনা দিতে হতো। কোন নথিতে কী সিদ্ধান্ত হবে তা তিনি বলে দিতেন। উপাচার্যের ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘোষিত এক প্রশাসন চালু করে সে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল কিছুর তদন্ত করা প্রয়োজন।

এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েক দফায় অধ্যাপক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিলে তিনি তা দেখেও কোনো রিপ্লাই দেননি। তার দপ্তরে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি অভিযোগে তার নামেও আছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে তুলবো বিষয়গুলো। পরবর্তীতে এ নিয়ে হয়তো উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একই সঙ্গে এ ঘটনাগুলো খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত, অগ্রহণযোগ্য, নিন্দনীয় এবং ঘৃণিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন বিষয় খুবই হতাশাজনক এবং বেমানান। এগুলো তদন্ত হবে এবং এতে যে ফ্যাক্ট আসবে তার ওপর ভিত্তি করে এর বিচার হবে। যদি কেউ দোষী হয়ে থাকে আমরা চাই তার শাস্তি হোক। আমরা চাই যে যতটুকু অপরাধ করেছে সে ততটুকুই শাস্তি পাক। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটি এগুলো পর্যবেক্ষণ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কথা বলবেন জানান। পরবর্তীতে কল করা হলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরএআর