কলেজছাত্রের মৃত্যু, রাবির সহকারী প্রক্টরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিহত মো. শিমুল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মো. শিমুলের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরীর মতিহার থানায় নিহত শিমুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সায়েন্স বিল্ডিংয়ের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন শিমুল। এ সময় ড. খুদরত-ই-খুদা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের কাছে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জিজ্ঞেস করেন। একপর্যায়ে ‘বহিরাগত, ধর ধর’ বলে চিৎকার করেন। এ সময় পেছন থেকে কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিমুলকে ধাওয়া করেন।
এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এরপর তৃতীয় বিজ্ঞান ভবন এবং চতুর্থ বিজ্ঞান ভবনের মাঝে বাইকের গতিরোধ করার জন্য ধাওয়া দিতে আসে এবং তাদের মধ্যে অজ্ঞাত একজন শিমুলকে ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যাট দিয়ে পেছন থেকে ঘাড়ে আঘাত করে। এ সময় অজ্ঞাত সহকারী প্রক্টরসহ উপস্থিতরা শিমুলের সঙ্গে থাকা মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টিকে চড়থাপ্পড় মারেন। পরে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের গেট থেকে পশ্চিমে ৩৫ গজ দূরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। শিমুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে রাবি মেডিকেল সেন্টার ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বিষয়ে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, নিহত শিমুলের বাবা বাদী হয়ে বুধবার মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় রাবির সহকারী প্রক্টরসহ অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।
জুবায়ের জিসান/আরএআর