চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে ফেরাতে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে আমারণ অনশনে বসেছেন ইনস্টিটিউটটির শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এই অনশন শুরু করেন তারা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা এই অনশন চলমান রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পেলে আমরণ অনশন কর্মসূচি আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জানানো হয়েছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা করা হয়নি। ফলে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আবার আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আমরা বারবার আশ্বাস পাচ্ছি কিন্তু ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ফেরানো হচ্ছে না। তাই আমরা ফের আন্দোলনে নেমেছি। এখন পর্যন্ত ২০ ঘণ্টা অনশন করেছি। ইতিবাচক আশ্বাস না পেলে জীবিত থাকা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে প্রক্টর স্যার আমাদের এখানে এসে আরও কিছু সময় চেয়েছেন। আমরা চারুকলা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ফেরানোর ৭টা স্টেপের মধ্যে ৬টি স্টেপ সম্পন্ন করেছি। পরের স্টেপ সিন্ডিকেট সভা সমাবর্তনের পর ডাকা হবে। এদিকে আমাদের শিক্ষকদের দাবি ছিল এই ইনস্টিটিউট অনুষদে রুপান্তর করা। এই সিদ্ধান্ত নিতে হলে সিন্ডিকেট সভা প্রয়োজন। সেটা সমাবর্তনের পর এক মাস ছাড়া সম্ভব নয় বলে প্রশাসন জানিয়েছেন। তবে এরকম আশ্বাস এর আগে আমরা পেয়েছি। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল শেষ সময়। এরপর চারুকলা ক্যাম্পাসে ফেরানো হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তারা ৭টা স্টেপ পূরণ করতে পারেনি। এর দায়ভার তাদেরকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটে বোড অফ গভর্নেন্স প্রয়োজন। সেটা চারুকলা ইনস্টিটিউটে ছিল না। এখন সেটা করা হয়েছে। এই ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ফেরানোর ৭টি ধাপের মধ্যে ৬টি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি একটি করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী দ্রুতই ক্যাম্পাসে চারুকলায় ফেরাতে হলে সিন্ডিকেট সভা প্রয়োজন। সেটা এখনই সম্ভব নয়। এজন্য আমরা তাদের কাছে এক-দেড়মাস সময় চেয়েছি। এই সময় তারা না দিলে বা বিকল্প কোনো দাবি থাকলে সেটা আমাদেরকে জানাক। তবে এখন পর্যন্ত এমন কিছু তারা আমাদেরকে জানায়নি।
আতিকুর রহমান/আরকে