খুলনা বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা।

এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে’, ‘একদফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি’, ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসিব বলেন, কুয়েটে আজকে একটি বিশাল আন্দোলন চলছে। অনেক শিক্ষার্থী অনশনে বসেছে। আমরা এই সমাবেশ থেকে ভিসির পদত্যাগের পাশাপাশি দাবি জানাই যে, ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে হবে।

শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, খুলনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ ও ৩৭ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করার দাবিতে আমাদের ভাইয়েরা অনশন করছে গত তিন দিন যাবৎ। কিন্তু আমরা দেখতে পারছি, আমাদের ভাইদের ওপর অন্যায় ও জুলুম করার পরও কুয়েটের ভিসি তার স্ব পদে বসে আছে। আমরা আমাদের ভাইদের পাশে আছি, অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি সরকারকে।

অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে কুয়েটে পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এমএল/এমএন