বেরোবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদত্যাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশীদ তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ জমা দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক ভুক্তভোগী সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তানজিউল ইসলাম আমাকে (ছাত্রীকে) নানাভাবে হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন করেছে। তিনি বিভিন্ন সময় বাজে ইঙ্গিত দিয়েছেন, অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন। ঘটনাক্রমে তার ও এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারি। তাই আমাকে তার নিজস্ব চ্যাম্বারে ডেকে অপমান করেন ও হুমকি দেন। অন্যান্য শিক্ষকের কোর্সে ভালো করলেও তার ফাঁদে পা দেইনি জন্যে আমার ফলাফল খারাপ করে দেন। তার মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির কারণে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম পরে পরিবারের কথা ভেবে ফিরে আসি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি ভেবেছিলাম তিনি থামবেন কিন্তু পরিবর্তন হননি। এখনো রেজাল্ট টেম্পারিং ও নারী শিক্ষার্থী হয়রানির কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়ি। আমার বিভাগে আর কোনো ছোটবোন যেন তার লালসার স্বীকার না হয় যে জন্য প্রমাণসহ অভিযোগ প্রদান করছি। দ্রুত যেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমি প্রশাসনিক বিদ্যমান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি পদত্যাগ করেছি যাতে প্রশাসনের তদন্ত কার্যক্রমে কোনো রকম প্রশ্ন না উঠে সেই জন্য।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর রশীদ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেজাল্ট টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। সেই অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের তদন্তের স্বার্থে তিনি (তানজিউল ইসলাম) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

শিপন তালুকদার/আরএআর