বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগে সময় বেধে দিলেন শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগে সময় বেধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টার মধ্যে তিনি পদ থেকে সরে না দাঁড়ালে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে চলমান অ্যাকাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এদিকে সোমবার শিক্ষার্থীদের ডাকা অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনে ববিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগের পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাত ১০টায় ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন। শুচিতা শরমিনের কর্মসূচির বিরুদ্ধে রাত সাড়ে ৮টায় শিক্ষার্থীরা পালটা সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মেনে নিয়ে উপাচার্য সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেবো। তার আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সংবাদ সম্মেলন করবো।

শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত আমাদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।

কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই ভালো নেই। এই ফ্যাসিস্ট মনোভাবের স্বৈরাচারী উপাচার্য যদি থাকেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে