ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৭ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৪টায় ঢাবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষফোড়া হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবেই ক্যাম্পাস ও আশেপাশে অপরাধ সংঘটিত হয়। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন চাঁদাবাজির মাধ্যমে উদ্যানকে আয়ের উৎস করে তুলেছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তার জন্য চিঠি দেওয়ার পরেও আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একটি গোষ্ঠী উদ্যানকে নিরাপদ মাদক সেবনের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমে তারাই বাধা দেয়। যার ফলে আজ সাম্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকে ঢাবি প্রশাসন বরাবর দেওয়া লিখিত ৭ দফা প্রস্তাবনা সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সদস্য সচিব মাহির আলম।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইয়ামিন সাম্য'র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।

২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি গেট বন্ধ করতে হবে এবং সমস্ত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হবে।

৩. ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ভবঘুরে, মাদকাসক্ত এবং অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করা।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা এবং প্রবেশমুখগুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৈদ্যুতিক বাতি এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।

৬. উদ্যানে বিদ্যমান অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা।

৭. মুক্তমঞ্চসহ উদ্যানের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল প্রকার মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের নির্মূল করা।

এসআইআর