শিক্ষার্থীদের অনশনের ৭২ ঘণ্টা পার
ডাকসু নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি ঢাবি প্রশাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন ও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরণ অনশন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। অনশনের সময় ৭২ ঘণ্টা পার হয়েছে আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে। অন্যদিকে অনশনে অসুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত দুইজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচন ও তফসিল নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনশনের সময় ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে চতুর্থ দিন চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন ও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণাসহ ৩ দফা দাবিতে গত ২১ মে দুপুর সাড়ে ১২ টায় অনশন শুরু করেন ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। এরপর বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত অনশনে বসেছেন অনেকে। অনশনরত অবস্থায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী মাহতাপ ইসলামকে গতকাল শুক্রবার রাতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জালালউদ্দীন মোহাম্মদ খালিদের এখনও একই দাবিতে অনশনরত রয়েছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জালালউদ্দীন মোহাম্মদ খালিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আমাদের অনশনরত দুইজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আজকের মধ্যে ডাকসুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসলে আগামীকাল রোববার ঢাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের এজিএস খাইরুল আহসান মাঝহার।
এসএআর/এসআইআর