‘জুলাই ঐক্য’র মিছিলে বাধা, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাথে সাক্ষাৎ
নিজেদের দেওয়া তালিকার ৪৪ আমলার অপসারণ না হওয়ায় আজ (মঙ্গলবার) ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করেছে ‘জুলাই ঐক্য’। পূর্বঘোষিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সচিবালয় ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা বিতর্কিত আমলাদের অপসারণ না করায় সংগঠনটি এ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে ‘জুলাই ঐক্য’। মিছিলটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধায় থেমে যায়। পরে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা সেখানেই অবস্থান নেন। এ সময় তারা “অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই” সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিজ্ঞাপন
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ‘জুলাই ঐক্য’র পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, এবি জুবায়ের, প্লাবন তারিক, ইসরাফিল ফরাজী এবং বোরহান মাহমুদ। আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানসহ ৪৪ সচিবের তথ্য তুলে দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
‘জুলাই ঐক্য’ অভিযোগ করেছে যে, নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও সরকার এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উল্টো সচিবালয়ে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কারের উদ্দেশ্যে করা আইনের সংশোধনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, যা ‘জুলাই স্পিরিট’-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংগঠনটি আরও জানায়, চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সচিবালয় অচল করে ‘সিভিল ক্যু’ করার যে পরিকল্পনা তারা নিয়েছে, তার পেছনে ভারতীয় অ্যাজেন্ডা রয়েছে।
এর আগে গত ২০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ‘জুলাই ঐক্য’ সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা ৪৪ জন ‘স্বৈরাচারের দোসর আমলাদের’ তালিকা প্রকাশ করে। সেই সংবাদ সম্মেলন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এসব আমলাকে অপসারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।
এনএফ