ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ মাত্র ২১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। যা মোট বাজেটের মাত্র ২.০৮ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। গত বছরের চেয়ে যা প্রায় দেড় কোটি বেশি।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে ঢাবির প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

নতুন অর্থবছরের জন্য মঞ্জুরি কমিশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যাপ্ত বরাদ্দ পায়নি জানিয়ে কোষাধ্যক্ষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে চাহিদা ছিল ৯৭৮ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। সেখানে ইউজিসি বরাদ্দ দিয়েছে ৮৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ কম।

তিনি বলেন, নতুন এই বাজেটে বেতন বাবদ ব্যয় হবে ২৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ভাতাদি বাবদ ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা, পণ্য ও সেবা বাবদ ব্যয় হবে ২৮৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। পেনশন ও অবসরকালীন ভাতা ও সহায়তা বাবদ ১৩৮ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা বাবদ ১০০ কোটি টাকা, যন্ত্রপাতি অনুদান বাবদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, যানবাহন বাবদ অনুদান ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা, অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ ৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

ঢাবি কোষাধ্যক্ষ বলেন, বাজেট প্রণয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমরা এর বাইরে যেতে পারি না।

এসএআর/এমজে