টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। মর্যাদাপূর্ণ এই র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় এবং আন্তর্জাতিক তালিকায় ১৩০টি দেশের ২ হাজার ৫২৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০১-৮০০ তম ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, কর্মকাণ্ড, উদ্ভাবন ও সফলতার ভিত্তিতে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়।

এসডিজির প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে সামগ্রিকভাবে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান ছাড়াও এসডিজি-৭ (সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি) ক্যাটাগরিতে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ১৮১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৬তম অবস্থানে রয়েছে গ্রিন। এছাড়াও ২০২৫ সালের ‌'এসডিজি অ্যানুয়াল রিপোর্ট– ভলিউম ১'-এর জন্য পূর্ণ ১০০ শতাংশ স্কোর অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, মোট ১৭টি ক্যাটাগরির ওপর ভিত্তি করে র‌্যাঙ্কিংটি প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে– নো পোভার্টি (দারিদ্র্য বিমোচন); জিরো হাঙ্গার (ক্ষুধা মুক্তি); গুড হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং (সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ); কোয়ালিটি এডুকেশন (গুণগত শিক্ষা); জেন্ডার ইকুয়ালিটি (লৈঙ্গিক সমতা); ক্লিন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন (পরিচ্ছন্ন পানি ও স্যানিটেশন); অ্যাফোর্ডেবল অ্যান্ড ক্লিন এনার্জি (সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি); ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ (শালীন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি); ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার (শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো); রিকোয়ার্ড ইনইকুয়ালিটিস (অসমতা হ্রাস); সাসটেইনেবল সিটিজ অ্যান্ড কমিউনিটিস (টেকসই নগর ও জনপদ) প্রভৃতি। এবারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরেই আছে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি।

উপাচার্যের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

এদিকে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ এমন অবস্থানের কারণে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এ দেশের দ্বিতীয় সেরা অবস্থান অর্জন গ্রিন ইউনিভার্সিটি পরিবারের জন্য একটি গৌরবের মুহূর্ত। এই স্বীকৃতি আমাদের টেকসই উন্নয়ন, গুণগত শিক্ষা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। সব শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রেখে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে– সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এমজে