কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফোরাম।
রোববার (২৯জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পরবর্তীতে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোন ধর্ষিতা কেন’, ‘ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘ধর্ষকদের বিচার কর’, ‘নিরাপত্তা দাও, না হলে গদি ছাড়ো' 'যেই সমাজ ধর্ষক পালে সেই সমাজ ভেঙে দাও ' ধর্ষকের ক্ষমতা কেড়ে নিন, 'নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতা দিন' সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, সম্প্রতি দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরও পুরোনো ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় নারী নিপীড়নের সংস্কৃতি বহাল রয়েছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এখনও পুরোনো দুঃশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সংখ্যালঘু, নারী, আদিবাসীসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে জুলাই আন্দোলনের চেতনার সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা মৌ বলেন, ২৭ জুন কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি গণমাধ্যমেও দু’দিন এই খবর প্রকাশ পায়নি। প্রশ্ন হলো—এই ঘটনা কার নির্দেশে ধামাচাপা দেওয়া হলো? দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরও ইন্টারিম সরকার চুপচাপ রয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, ধর্ষণের খবর দেখে আমরা যেন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। অথচ নিরাপত্তাহীনতা এখন সর্বত্র। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা সেটা পারেনি।
সমাবেশ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুরাদনগরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন বক্তারা। একইসঙ্গে সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ, নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দুই দিন পর ২৯ জুন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।
এমএল/এআইএস