সেদিন দুপুরে আমার এমনি এমনি কান্না আসছিল। আমি তো বুঝতে পারছিলাম না আমার মনি ওই সময় দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে। বিকেলের দিকে একজন আসি আমাক কইলো, সাব্বিরের মা, তোমার সাব্বির তো পুলিশের গুলিত মারা গেছে। এটা শুনে তো আমার দুনিয়াই থেমে গেল। প্রতিদিন অনেকেই আসে দেখা করতে, খালি আমার মনিই আসে না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চব্বিশের ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ সাব্বিরের মা রাশিদা খাতুন। 

বুধবার (২ জুলাই) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাব্বির হোসেনের কবর জিয়ারত করেন। এসময় তারা শহীদ সাব্বিরের মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, তানভির মণ্ডল ও গোলাম রাব্বানীসহ অন্য নেতাকর্মীরা।

সহ সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, আমাদের ২০২৫ এর জুলাই শুরু হয়েছে শহীদ সাব্বির এর কবর জিয়ারত এর মধ্যে দিয়ে। শহীদ সাব্বির এর মায়ের কথা শুনতে শুনতে আমার মায়ের একটা কথা মনে পড়েছিল। তাকে বলেছিলাম দুই ভাইয়ের এক ভাই মারা গেলেও আপনাদের দেখার মতো একজন থাকবে। 

প্রসঙ্গত, চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সাব্বির হোসেন। ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় আজমপুরে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চড়িয়ারবিল এলাকার আমোদ আলীর ছেলে।


রাকিব হোসেন/এমএএস