ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের পচা মাছ ও মাংস পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে এসব অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি), ঢাবি শাখা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সংগঠনটির প্রতিনিধিরা আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে রান্নাঘরের অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, একাধিকবার ব্যবহৃত তেলে নাশতা প্রস্তুত এবং আগের দিনের রান্না পুনরায় পরিবেশন করার মতো গুরুতর অনিয়মের চিত্র ধরা পড়ে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, প্রতিদিন দুপুরে রান্না হওয়া অতিরিক্ত খাবার সংরক্ষণ করে রাতে তা পুনরায় পরিবেশন করা হচ্ছে। বিকেলের নাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে বারবার ব্যবহৃত তেল। এছাড়াও রান্নায় ক্ষতিকর টেস্টিং সল্ট ও নিম্নমানের পাম অয়েল ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে ক্যান্টিনের রান্নাঘরে অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও লক্ষ্য করা গেছে।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, “হলের খাবার খেয়ে পেটের পীড়ায় ভুগছি। দুই দিন আগে ক্যান্টিন থেকে মুরগির মাংস নিয়ে খেতে গিয়ে তীব্র পচা গন্ধ পেয়ে আর খাওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা দ্রুত হল প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

এ বিষয়ে সিওয়াইবি সভাপতি মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, “মুহসীন হলে এর আগেও ক্যান্টিনে একাধিকবার অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। প্রশাসনকে জানানো হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন তো শিক্ষার্থীদের পচা মাছ-মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। আমরা হল প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ভোক্তা অধিদপ্তরে মামলা করার কথা ভাবছি।”

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শুধু মুহসীন হল নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতেও প্রায় একই চিত্র বিরাজ করছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা জানান, এসব পচা ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।

এসএআর/এআইএস