‘মব সন্ত্রাস নিরসন ও প্রতিরোধ’
অনুমতি ছাড়াই নাম ব্যবহার করা হয়েছে, অভিযোগ পাল্টা বিবৃতিতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘আওয়ামীপন্থী’ শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের একাংশ দেশের সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে ‘মব সন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে ৭১ জন শিক্ষকের নাম উল্লেখ থাকলেও, অভিযোগ উঠেছে অনেককেই না জানিয়ে তাদের নাম এ বিবৃতিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিবৃতিতে নাম থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
তাদের দেওয়া পাল্টা বিবৃতিতে শিক্ষকদের অভিযোগ, গত বুধবার বিকেলে ‘মব সন্ত্রাস নিরসন ও প্রতিরোধ’ চেয়ে ঢাবির শিক্ষকদের একটি অংশ যে বিবৃতি দেয়, তাতে ৭১ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে বিবৃতি প্রকাশের পরপরই সংশ্লিষ্ট তালিকায় নিজেদের নাম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তারা অভিযোগ করেন, তাদের কোনো অনুমতি ছাড়াই ওই বিবৃতিতে নাম ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত প্রতিবাদও জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়ে বিবৃতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের পাঁচ শিক্ষক— সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আরশাদুল হাসান, ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, আহমদ হাসান চৌধুরী, প্রভাষক ইমরান হোসাইন এবং নাঈমুল ইসলাম।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “মব ও মানবাধিকার ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে ঢাবির ‘আওয়ামীপন্থী’ ৭১ শিক্ষকের বিবৃতি” শিরোনামে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়। অথচ এই বিবৃতি সম্পর্কে কেউ তাদের কোনো অনুমতি নেয়নি এবং তারা কোনো স্বাক্ষরও করেননি। বিবৃতির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। তারা বলেন, অনুমতি ছাড়া নাম বা স্বাক্ষর ব্যবহার সম্পূর্ণ অনৈতিক, এবং তারা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
বিজ্ঞাপন
শুধু আরবি বিভাগই নয়, উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিমও বিবৃতিতে নিজের নাম থাকার ব্যাপারে আপত্তি জানান। তিনি বলেন, “কে বা কারা এ বিবৃতি দিয়েছে তা আমি জানি না। আমাকে কেউ জিজ্ঞাসাও করেনি। এসব রাজনীতির মধ্যে আমি নেই। জানার পর খুবই খারাপ লেগেছে। এমন কাজ কখনোই করা উচিত নয়।”
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ আলী বলেন, “বিবৃতিটির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। নীল দলও এ বিষয়ে অবগত নয়। এটি যারা দিয়েছে, তা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। নীল দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এসএআর/এনএফ