ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। আবদুল্লাহর মৃত্যু ঘিরে কেউ যেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল না  করেন সে অনুরোধও করেছে তার পরিবার। 

গতকাল সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তারা এ দাবি জানান। 

সাজিদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কাজের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নিতে ক্যাম্পাসে আসেন তারা। এসময় সাজিদের বাবা আহসান হাবিবুল্লাহর সাথে তাদের প্রতিবেশী হোসনি মোবারকসহ সাজিদের চাচা ও ভগ্নিপতি উপস্থিত ছিলেন।  

তারা বলেন, মূলত তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। সাজিদের বিভাগ কী করছে সে বিষয়ে বিভাগের সভাপতির সাথে কথা বলেছি। দুই তদন্ত কমিটি ও উপ-উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি। তাদের কাছে তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মধ্যে দিয়ে রিপোর্টে যেটা আসবে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। যদি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে তার বিচার চাই। একটা সুষ্ঠু বিচার আমরা চাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কোনো রাজনীতি করুক সেটা আমরা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তারা সবাই আমার সন্তান। তারা যেন সুন্দরভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হোক।  

এ ছাড়া সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তারা জানান, প্রাথমিকভাবে জিডি করা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে আমরা আপাতত আর কিছু করতে চাচ্ছি না। সুষ্ঠু তদন্তের পর যদি কিছু দরকার হয় তখন পরিস্থিতি বুঝে সেটা করবো। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টায় তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে সাজিদ মারা যায় বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এদিকে পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ ভেসে ওঠার পর থেকেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবিতে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে দুই তদন্ত কমিটি রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। 

রাকিব হোসেন/এনএফ